চট্টগ্রাম খুলশী জালালাবাদ এলাকায় চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব

Posted by

চট্টগ্রাম নগরের পশ্চিম খুলশী জালালাবাদ এলাকায় থামছেই না পাহাড়-কর্তন। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে পাহাড় কেটে সাবাড় করছে সালাউদ্দিন নামে এক ব্যাক্তি। ইতিমধ্যে ঐ এলাকায় ছোট-বড় অন্তত ২০টি পাহাড় কাটার সাথে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলেও জানা যায়।পাহাড় কাটা বা ধ্বংস করার খেলা আমাদের নতুন কোন বিষয় নয় যুগযুগ ধরেই এটি চলছে। মনে হয় এটি একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। আইনে এর বৈধতা আছে তাই মানুষ অল্প ভাড়ায় বাসা নিয়ে সেখানে বসবাসের দিকে ঝুকছে। আর দখলকারীরা ভালমন্দ বিবেচনা না করে কোনমতে একটি ঘর তৈরি করে ভাড়ায় লাগাচ্ছে। এসবে সরকারি দায়িত্বশীলদের কখনো কঠিন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি যতক্ষণনা প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে। আবার লাশের মিছিল দেখে কিছুদিন একটু সরব হলেও ধীরে ধীরে তারা আবার ঝিমিয়ে পড়ে।গত ৬ মে (সোমবার) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জালালাবাদ ৪নং লাইনের শেষে সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে তার মালিকানাধীন দুটি পাহাড় কাটছে ৩০-৪০ জন লোক। এ সময় গণমাধ্যম কর্মীদেরকে পাহাড়ে উঠতে দেখে সালাউদ্দিন ও তার লোকজন পাহাড় কাটার বিভিন্ন জিনিসপত্র ফেলে সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পাহাড়ে উঠে দেখা যায় ইতিমধ্যে তারা সেখানকার দুটি পাহাড়ের প্রায় ৫০ শতাংশ মাটি কেটে সাবাড় করে ফেলেছে। পাহাড় কাটার বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাসকে অবহিত করা হলে, পরদিন ৭ মে (মঙ্গলবার) সকালে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি টিম ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। এবং তারা পাহাড় কাটায় ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র ধ্বংস করে। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।স্থানীয়রা জানায়, সালাউদ্দিন নামের ঐ ব্যক্তি জলালাবাদ ৪ নং লাইন, রূপসী হাউসিং সোসাইটি সহ বিভিন্ন জায়গায় কম টাকায় পাহাড় কিনে রাতের আঁধারে সেগুলো কেটে পরবর্তীতে মোটা অংকের টাকায় বিক্রি করে। শুধু তাই নয় জালালাবাদ এলাকার অন্যান্য জায়গার মালিকের ছোট-বড় পাহাড় কাটার কন্ট্রাক্ট এই সালাউদ্দিন নিয়ে থাকে বলেও জানা যায়। আর এভাবেই সে অল্প দিনে বনে গেছে কোটি কোটি টাকার মালিক।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সালাউদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করে রং নাম্বার বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *