চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেলপথে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে আনসার মোতায়েন হচ্ছে

Posted by

চট্টগ্রাম বিভাগে রেলপথে ১৬৮টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে।নিরাপত্তা জোরদারে এক হাজার ১৫৭ আনসার সদস্য মোতায়েন করার পাশাপাশি রাতে রেলের গতি কমিয়ে চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বিভাগে চিহ্নিত ১৬৮টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা লাকসাম পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে ১১০টি, চট্টগ্রাম নাজিরহাট রুটে ১৪টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ, ষোলশহর থেকে দোহাজারী পর্যন্ত রুটে ১২টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ এবং সদ্য নির্মিত দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইনে ২৩টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্থানের নিরাপত্তা জোরদারের জন্য এক হাজার ১৫৭ জন আনসার সদস্য মোতায়েন করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন রেলওয়ে কর্মকর্তারা।এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, হরতাল-অবরোধে রেল এবং রেললাইনকে ঘিরে ব্যাপক নাশকতা হচ্ছে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে রেললাইনে ঝুঁকিপূর্ণ ১৬৮টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। নাশকতা প্রতিরোধে করণীয় হিসেবে এসব স্থানে পর্যাপ্ত পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রাতের ট্রেনগুলো চলাচলে গতি কমিয়ে দেওয়া এবং গুরুত্বপূর্ণ রেলপথগুলোতে কয়েক ঘণ্টা পরপর ট্রলি চালিয়ে দেখা হচ্ছে।প্রত্যেক ডিইএন, এইএন এবং এসএসএই/ওয়েম্যানরা তাদের অধীন ওয়েম্যানদের এলাকা উল্লেখ করে তাদের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর ডিভিশনাল কন্ট্রোলে সরবরাহ করবেন। ডিভিশনাল কন্ট্রোলের মোবাইল নম্বরগুলোও স্টাফদেরকে সরবরাহ করতে হবে। একইসঙ্গে কন্ট্রোলের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষার বিষয়েও বলা হয়েছে।এদিকে, গত ১৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ সুপারের কাছে রেললাইনে নিরাপত্তা জোরদারে একটি চিঠি পাঠিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কর্তৃক প্রায়শই অবরোধ/হরতাল দেওয়া হচ্ছে। এতে রেলপথ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ফলে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিরাপদে ট্রেন চলাচলের স্বার্থে এবং যাত্রী সাধারণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে যেকোনও নাশকতা রোধে রেললাইন, বিভিন্ন সরকারি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরসমূহ ও রেলওয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা প্রয়োজন।পুলিশ ও আনসার সদস্যগণ রেললাইনে কর্মরত রেলপথ রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নিয়োজিতদের সঙ্গে এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে রেলপথ পাহারাসহ বিভিন্ন সরকারি গুরুত্বপূর্ণ দফতর ও রেলওয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নিয়োজিত থাকবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *