আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, চট্টগ্রাম মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ আজ সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলন এ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ সরকারের নিকট ১৫ দফা দাবি পেশ করেন এবং সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।
সরকারের নিকট মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের দাবী সমূহ হলো :
৭২ এর সংবিধানের আলোকে সকল সম্প্রদায়ের
সম অধিকার নিশ্চিত করা, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন , বৈষম্য বিলোপাইন এবং দেবতা সম্পত্তি সংরক্ষণ আন্দোলনে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন , হিন্দু সম্প্রদায়ের মঠ,মন্দির, ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি সংযোগ, হত্যা, লুটপাট,হামলা,ভাঙচুর সহ সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস সৃষ্টিকারীদের মানবতা বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করে বিশিষ্ট ট্রাইব্যুনাল গঠন করে শাস্তির ব্যবস্থা করা, শারদীয় দুর্গাপূজো উপলক্ষে ৪ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা, প্রায় তিন কোটি সনাতনী সমাজের অন্যতম দুঃখ সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টিকারী বাতিলকৃত শত্রু সম্পত্তি আইন কার্যকর করে অবিলম্বে প্রকৃত ভূমি মালিকদের ফেরত দেওয়া, সেনাবাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ প্রশাসন ও সচিবালয় সহ সকল সরকারি আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদেরক কে আনুপাতিক হারে নিয়োগ, সরকারি সংস্কৃত কলেজে স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়ন, বাংলাদেশ হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট কে ফাউন্ডেশনে উন্নীত করে সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের অবসান, চট্টগ্রামের তীর্থ ভূমি সীতাকুণ্ড কে জাতীয় তীর্থ স্থান ও ঢাকেশ্বরী মন্দির কে জাতীয় মন্দির হিসেবে রাষ্ট্রীয় ঘোষণা প্রদান, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে রাজনীতি ও নির্বাচনে ধর্ম এবং সাম্প্রদায়িকতার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা , সীতাকুণ্ড শ্রী শ্রী চন্দ্রনাথ ধাম ও কক্সবাজারের আধিনাথ মন্দিরে সরকারি সহায়তায় উন্নয়ন করার আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করা, চট্টগ্রামের অন্যতম তীর্থ স্থান রানী রাসমণি ঘাটে বারূণী স্নানের জন্য ৫ একর জায়গা বরাদ্দ প্রদান , শারদীয় দুর্গোৎসব চলাকালীন সরকারি, বেসরকারি সকল স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখা, দেশের প্রতিটি জেলা ও মহানগর পর্যায়ে একটি করে মডেল মন্দির নির্মাণ সহ ভূমি বরাদ্দ দেওয়া, চট্টগ্রাম সহ সারা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় সনাতনী সম্প্রদায়ের মঠ- মন্দির, ঘরবাড়ি , ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট সহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসমূহ কে দ্রুত ক্ষতিপূরণ ও সংস্কার প্রদান এবং আইনী ব্যবস্থা নেওয়া ।
এ সময়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পূজা পরিষদের নেতৃবৃন্দ মহান জাতীয় সংসদে ২২ জন প্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও তারা সংসদে সনাতনী সম্প্রদায়ের পক্ষে কার্যকর ভূমিকা না রাখায় ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি সংসদ সদস্য আ ক ম বাহার উদ্দিনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এছাড়া শারদীয় দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে পালনের জন্য সমগ্র চট্টগ্রামবাসীর সহযোগিতা চান ।
এসময় পূজা পরিষদের সভাপতি লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল, অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন ।