কালুরঘাট সেতুতে তিনটি ইঞ্জিনের মাধ্যমে ট্রেনের ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে তিন দফায় এ ট্রায়াল রান সম্পন্ন করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল বিভাগ।
প্রথম ট্রায়ালে ২২০০ সিরিজের লাইট ইঞ্জিন, দ্বিতীয় ট্রায়ালে ২৯০০ সবশেষ তৃতীয় ট্রায়ালে ৩ ০০০সিরিজের ইঞ্জিন দিয়ে ট্রায়াল রান সম্পন্ন করা হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রায়ালে প্রাথমিকভাবে কোন ত্রুটি পাওয়া যায়নি।চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিঞা বলেন, সকাল থেকে দুইদফায় ২২০০, ২৯০০,৩০০০, সিরিজের ইঞ্জিন দিয়ে ট্রায়াল রান দেওয়া হয়েছে। ট্রায়াল রানের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। গত ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সংস্কারকৃত কালুরঘাট সেতুর উপর বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিমের উপস্থিতিতে ২২০০ এবং ৩০০০ সিরিজের ইঞ্জিন চালানোর কথা ছিল। কিন্তু বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা সেতুতে কিছু ত্রুটির কথা উল্লেখ করে এগুলো পুনরায় সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত সেতুর উপর দিয়ে ইঞ্জিন চালানোকে সমর্থন করেননি।আগামী ১১ নভেম্বর এ পথে ট্রেন চলাচলের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন শেষে আইকনিক স্টেশন দেখবেন তিনি। পরে উদ্বোধনের পর এই রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে ১ ডিসেম্বর থেকে ।রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, কালুরঘাট সেতুটির আগের এক্সেল লোড ছিল ১১। দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধনের আগে সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত ১ আগস্ট থেকে সেতুটির সংস্কার কাজ শুরু হয়।জানা গেছে, কালুরঘাট রেলওয়ে সেতু ১৯৩০ সালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মাণ করে ব্রুনিক অ্যান্ড কোম্পানি ব্রিজ বিল্ডার্স হাওড়া। পরে ১৯৬২ সালে ওই সেতুর উপর দিয়েই সড়ক পথের যান চলাচল শুরু হয়। দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার এই ৬৩৮ মিটার সেতুটি এর আগে দুইবার সংস্কার করা হয়েছিল। ২০০১ সালে এই সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। পরে ২০১১ সালে সেতুটিকে চুয়েটের একদল গবেষক আরও একবার ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে।
কালুরঘাট সেতুতে তিন ইঞ্জিন দিয়ে ট্রায়াল রান সম্পন্ন
Posted by