দোহাজারী-কক্সবাজার ট্রেন চলাচলের উপযোগী উঠছে কালুরঘাট সেতু।দ্রুত গতিতে সংস্কার কাজ চলছে।এ মাসে সংস্কার করে সেতুর উপর দিয়ে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে।আগামী ২ নভেম্বর দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন নির্মিত রেলপথে।পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলবে। ১২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে এ রেললাইনটি উদ্বোধন করবেন। চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে পরীক্ষামূলক ট্রেনটি কালুরঘাট সেতু হয়ে কক্সবাজার যাবে।নতুন ১০০ কিলোমিটার রেলপথ প্রকল্পের আওতায় কালুরঘাট সেতু না পড়লেও নতুন লাইনে চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন চালানোর জন্য সংস্কার জরুরি ছিল সেতুটির। সেতুটির সংস্কার কাজ করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।কালুরঘাট সেতু সংস্কার ছাড়া এই রেলপথে হাই লোডের ইঞ্জিনবাহী ট্রেন চালানো সম্ভব নয়।সেতু সংস্কার করে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করার কাজ চলছে।গত ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এ সময় মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন,সেতুটি শিগগিরই ট্রেন চলাচলের জন্য উপযোগী হবে। ১২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে এ রেলপথটি উদ্বোধন করবেন।বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পরামর্শক দলের পরামর্শে গত ১ আগস্ট থেকে ৯২ বছরের পুরোনো কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হয়। সংস্কার কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রেলপথ বসানোর কাজ।রেলওয়ে সৃত্রে জানা যায়, কক্সবাজার রেলপথে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন দ্রুত গতির ভারী ইঞ্জিনের ট্রেন চলাচল করবে। সংস্কার ছাড়া কালুরঘাট সেতু দিয়ে এ ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। এ বিষয়ে বুয়েট প্রকৌশলীদের পরামর্শ চাওয়া হলে তারা সেতুর বেশ কয়েকটি বড় ধরনের ত্রুটি চিহ্নিত করেন। প্রায় ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি সংস্কার করা হচ্ছে।রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত বলেন, বুয়েট পরামর্শক দলের পরামর্শ অনুযায়ী সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।এই মাসেই ট্রেন চলাচলের জন্য উপযোগী হয়ে যাবে কালুরঘাট সেতু।সংস্কারকাজের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ।সেতুটি সংস্কারের পর ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।কালুরঘাট রেলওয়ে সেতু ১৯৩০ সালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মাণ করে ব্রুনিক এন্ড কোম্পানি ব্রিজ বিল্ডার্স হাওড়া। পরে ১৯৬২ সালে ওই সেতুর উপর দিয়েই সড়ক পথের যান চলাচল শুরু হয়। দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার এই ৬৩৮ মিটার সেতুটি এর আগে দুই বার সংস্কার করা হয়েছিল। ২০০১ সালে এই সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। পরে ২০১১ সালে সেতুটিকে চুয়েটের একদল গবেষক আরও একবার ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিঞা বলেন, কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
কাজের গতি সন্তোষজনক জানিয়ে তিনি বলেন, চলতি মাসেই ট্রেন চলাচলের জন্য উপযোগী হয়ে যাবে।তবে এই সময়ের মধ্যে ওয়াকওয়ের কাজ করতে পারবো না। মূল সেতুর কাজ আমরা করতে পারবো। যেহেতু ওয়াকওয়ে নতুন যুক্ত হয়েছে, তাই এটি দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধনের পরে করবো।
এ সেতুর সংস্কার কাজের জন্য সকল প্রকার যানবাহন পারাপার বন্ধ রয়েছে। এর বিকল্প পথ হিসেবে সেতুর পাশে কর্ণফুলী নদীতে ফেরি সার্ভিস চালু করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
কালুরঘাট সেতু সংস্কার কাজের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ
Posted by