চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় সাতকানিয়া উপজেলার শত শত ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শঙ্খ ও ডলু খালের তীররক্ষা বা বেড়িবাঁধ ভেঙে মানুষের ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বন্যায় আধা শতকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ড’র প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-১ এর আওতাধীন এলাকার ৯৮টি স্থানের প্রায় সাড়ে ১০ কিলোমিটার এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। বন্যায় পটিয়ার জঙ্গলখাইন খালের পাড়, বড়লিয়ায় খালের পাড়, জিরি রেগুলেটরের ক্লোজার, ভাটিখাইনে খালের পাড় ভাঙন, কাশিয়াইশে রেগুলেটরের ব্যারেল সেটেলমেন্ট, চন্দনাইশের বৈলতলী ও বরমায় সাঙ্গু নদীর ভাঙন, লোহাগাড়ার পদুয়ায় ডলু নদী ভাঙন, আমিরাবাদে খাল ও নদীর তীর ভাঙন, আধুনগরে খালের পাড় ও নদীর তীর ভাঙন, সাতকানিয়ার চরতি সাঙ্গু নদীর ভাঙন, সাতকানিয়া পৌরসভায় খালের পাড় ভাঙন, দক্ষিণ আমিলাইশে খালের পাড় ভাঙন, এওচিয়া ও নলুয়ায় খালের পাড়ে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে।শঙ্খনদের কাটগড় পয়েন্টে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ফলে প্রতিরক্ষা বাঁধের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় এবার বন্যায় প্রতিরক্ষা বাঁধ বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ড (বিভাগ-১) নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে শাহীদ বলেন, জিও ব্যাগ স্থাপন করে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে পাউবো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। স্থায়ী বেড়িবাঁধ স্থাপনের জন্যও সমীক্ষা চলছে। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় চন্দনাইশের ধোপাছড়ি, বৈলতলী, চর বরমা, দোহাজারী, সাতকানিয়ার পুরানগড়, বাজালিয়া, ধর্মপুর, কালিয়াইশ, খাগরিয়া, ব্রাক্ষ্মনডেঙ্গা, চরতি, নলুয়াসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিরক্ষা কাজের ব্যাপক ক্ষতি ও নদের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন দেখা গেছে।ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত মেরামতের জন্য বরাদ্দ চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। বন্যায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা মেরামতে কমপক্ষে ৬৬ কোটি টাকার প্রয়োজন। বরাদ্দ পেলে দ্রুত মেরামত কাজ শুরু করা হবে।ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ও উপকূলীয় এলাকা জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙনরোধ করা না গেলে জলোচ্ছ্বাস দেখা দিলে ভাঙন আরও তীব্র আকার ধারণ করার আশঙ্কা রয়েছে।জরুরিভিত্তিতে ভাঙনরোধে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।সবমিলে আপৎকালীন ৬ কোটি টাকার কাজ চলছে।
সাতকানিয়া ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধে জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙনরোধ কাজ চলছে
Posted by